স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ নাসিমুল গনি বলেছেন, যশোর জেলার প্রতীক হচ্ছে খেজুর গাছ। আমি অত্যান্ত আনন্দিত যে আমাদের অঞ্চলের উৎপাদিত খেজুরের গুড় আজ জিআই পন্য হয়েছে। খেজুর গাছ কাটা সহজ কাজ না, এটি বছরে একবারই কাটা হয়, সে জন্য বিশেষজ্ঞ গাছি দিয়ে গাছ কাটলে রস গুড় সব কিছুই মানসম্মত হবে, তাই এ দিকে সকলকে খেয়াল রাখতে হবে।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) যশোরের চৌগাছায় তিনদিন ব্যাপী খেজুর গুড়ের মেলার সমাপনি দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এক সময় আমাদের যশোর অঞ্চলে প্রচুর খেজুর গাছ দেখা যেত কিন্তু আজ সেটি হারিয়ে যেতে বসেছে। আমি জানতে পেরেছি চৌগাছায় খেজুর বাগান তৈরীতে প্রশাসন একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে এটি নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ। সরকারী জমি, রাস্তার পাশে এমনকি পতিত জমিতে বেশি বেশি খেজুর গাছ লাগতে হবে এবং তার পরিচর্জা করতে হবে। চৌগাছা উপজেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার একজন নারি, তিনি এতো বড় একটি কাজ সুন্দর ভাবে শেষ করতে পেরেছে এ কারনে আমি খুশি। আমরা এখান থেকে বুঝতে পারি সুযোগ দিলে নারিরাও সব কিছু করতে পারে।
গাছিদের উদ্যোশে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ক্যালেন্ডার সকলেই দেখেছেন। খেয়াল করবেন ক্যালেন্ডারে একটি খেজুর গাছ দেখা যায় এবং একজন গাছি ওই খেজুর গাছ কাটছে, ভিষন ভালো লাগে ওই ছবিটি। এই ছবি দেখলে মনে হয় শীত চলে এসেছে। বাংলাদেশের শীতের আনন্দ খেজুরের রস আর তার সাথে পিঠা।
তিনি আরও বলেন, মানসম্মত গুড় উৎপাদন করলে তা সকলের কাছেই গ্রহনযোগ্য হবে। তবে এই মেলাতে আমি বেশ কিছু স্টলে দেখেছি গুড় ব্রান্ড করা হয়েছে। চমৎকার একটি কাজ। এ ধরনের ব্রান্ড করলে সেই গুড় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকাতে আপনারা সহজে পাঠাতে পারবেন শুধু দেশে না বিদেশেও এ ভাবে রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফিরোজ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের কারিগরি ও মাদ্রসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, খুলনা রেঞ্জের ডিআই জি মোঃ রেজাউল হক পিপিএম, যশোর জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম, উপ-সচিব মাহাবুবুল আলম মিলন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ইদ্রিস আলী, যশোরের পুলিশ সুপার জিয়া উদ্দিন আহমেদ, আমেরিকা লং আইল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক লোক প্রশাসন বিভাগের প্রধান বিশ্ব বরেণ্য অর্থনীতিবিদ ড. শওকত আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক সার্কেল জুয়েল ইমরান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুস্মিতা সাহা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমিন জাহান প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/ টিএ